1. hellofarid5@gmail.com : admi2017 :
  2. imranhcw@gmail.com : cw1 :
  3. gsmsoul@gmail.com : NM Tech Master : NM Tech Master
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার ইশতেহার ঘোষণা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ৭৭ বার

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।

রোববার (২১ মে) সকালে গাজীপুর জেলা শহরের প্রকৌশল ভবনের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার ঘোষণা করেন।

প্রতিষ্ঠা এবং ব্যক্তি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পাঠাগার সমূহকে সহয়তা দেওয়া হবে।

পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী ও ভাই-বোনদের অধিকার সংরক্ষণে ও নির্যাতন প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। শ্রমজীবী মায়েদের শিশুদের পরিচর্যার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘ডে-কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং বিকেল ৫টার পর তারা যেন টিসিবি’র সরবরাহকৃত খাদ্যসামগ্রী পেতে পারেন সেই উদ্যোগসহ সরকার ও মালিক পক্ষের সহযোগিতায় বেতন-ভাতাদি, নিরাপত্তা, বাসস্থান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সহয়তা দেওয়া হবে। গাজীপুর মহানগরীর সকল বস্তিবাসীর প্রাপ্ত নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সমাজের ভোগান্তি কমাতে জিসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে হেল্প ডেক্স তৈরি করা হবে।

তরুণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এবং একইসঙ্গে বয়স্ক ও শিশুদের মিলনস্থল ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড সেন্টার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেগুলোতে কমিউনিটি সেন্টার, সেবাদান কেন্দ্র, আত্মরক্ষাসহ বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রতিষ্ঠাসহ বহুমূখী ব্যবহার উপযোগী করা হবে। ডিজিটাল কমান্ড সেন্টার তৈরির মাধ্যমে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং স্মার্ট নেইবারহুড কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত পাড়া উৎসবসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপন এবং থ্রিআর পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে বর্জাকে জ্বালানি শক্তিতে রুপান্তরিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে বর্জ্য ও দুর্গন্ধমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নগরীর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন অডিটোরিয়াম এবং কালচারাল কমপ্লেক্স, মুক্তমঞ্চ নির্মাণসহ মিলনায়তনগুলো সংস্কার, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সহযোগিতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শিল্পকলা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং মেয়র নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হবে।

ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার জন্য উপযুক্ত মাঠ তৈরি করা, মেয়র গোল্ডকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ এবং কারাতে, সাঁতারসহ বিভিন্ন খেলার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গাজীপুর প্রেসক্লাবসমূহের উন্নয়ন ও সংবাদকর্মীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, প্রতিবন্ধী ও বিশেষ শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ভিখারীদের পুর্নবাসন ও সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী যুবক/যুব মহিলাদের অত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গাজীপুর মহানগরীতে বিদ্যমান পার্ক ও উদ্যানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করাসহ নতুন পার্ক নির্মাণ, শিশুদের জন্য বিশেষায়িত পার্ক নির্মাণ এবং নদী সংলগ্ন স্থানকে নান্দনিক, পায়ে হাঁটা ও বিনোদন উপযোগী করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে ঈদগাহ ও কবরস্থান নির্মাণ, শ্মশানগুলোর উন্নয়ন ও নির্মাণ, নগরীর উপযুক্ত স্থানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য সমাধিক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ, আলেম-মাশায়েখসহ সকল ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জায় সহায়তা দেওয়া হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট শিল্প-কলকারখানা, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও স্থানীয় অধিবাসীদের সহযোগিতায় নদী ও জলাশয়কে দখলমুক্ত, দোষণমুক্ত ও সংস্কারের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া এবং নগরীর উপযুক্ত স্থানে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার নেওয়া হবে। নিয়মিত মশক নিধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সকল কাঁচা বাজার ও মার্কেটগুলোর আধুনিকায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং হকারদের পুর্নবাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফ্রাইডে মার্কেট স্থাপন করার উদ্যোগ, পরিবেশবান্ধব আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ করা হবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।

গাউক, রেলওয়ে, বিটিআরসি, তিতাস গ্যাস, পল্লী বিদ্যুৎ, ডেসকোসহ গাজীপুর মহানগরীতে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি রক্ষা ও সুসসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য জিসিসি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

গাজীপুরের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য যাদুঘর ও আর্ট গ্যালারি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গাজীপুরকে মাদকমুক্ত মহানগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন, যুব সংগঠন, ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় মাদকসেবীদের সুচিকিৎসার ও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের এবং মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আধুনিক বিপনী বিতান তৈরি এবং যুব নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এবং প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাজীপুরে বিনিয়োগে উৎসাহিত করাসহ নতুন আয়ের উৎস তৈরি করা হবে।

সিটিজেন চার্টার বা নাগরিক সনদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে জিসিসির সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

ইশতেহার ঘোষণার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, অ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়া, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© ক্রাইম ওয়াচ - ২০২৩  | সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Customized By BreakingNews