মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি /ক্রাইম ওয়াচ :
প্রতিবেশীর নৃশংস হামলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে দুই সহোদর ভাই -হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় খোঁজ নিতেও ভয় পাচ্ছে এলাকাবাসী! এমনটাই ঘটেছে রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাই উপজেলার ধামরাই পৌর শহরের লাকুড়িয়া পাড়া মহল্লায়।ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক সদস্য প্রয়াত কুরবান আলীর দুই পুত্র মোঃ নাছির উদ্দীন (বড় ছেলে) ও নাজমুল হক (ছোট ছেলে)। হামলাকারীদের ভয়ে খোঁজ খবর নিতেও সাহস পাচ্ছে না আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন হামলাকারীদের প্রধান আশিকুর রহমান ধামরাইয়ের পরিবহন মালিক ডি- লিংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল রতনের আস্থাভাজন এবং ধামরাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১নং প্যানেল মেয়র মোকছেদ আলীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার অসহায় অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তা ও ভীতিকর পরিস্থিতিতে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায় যে, গত ৮ মে সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন আহত নাছির উদ্দীন পথে হঠাৎ করেই অতর্কিত হামলা চালায় আশিকুর রহমান। অতর্কিত হামলায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় নাছির চিৎকার করলে ছোট ভাই নাজমুল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়কে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে আশিকুর রহমান তাঁর দুই পুত্র নিরব ও আলভিকে নিয়ে রড, এস এস পাইপ, হাতুড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে এবং নাজমুলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং নাছিরের শরীর ও মুখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকে ফেরাতে চাইলে তাদেরকেও মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে এবং বলে মেরে ফেলে লাখ টাকা, কোটি টাকা জরিমানা দিতে হয় দিবো তবুও
মেরে ফেলবো।নিজেরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে দুই সহোদরকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়ে আবার তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার অভিনয় এবং ভিকটিমদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর বিষয়টিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী স্বীকার করেছেন।
বিষয়টি মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মোঃ মাহবুল হক গভীর উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করেন এবং সরেজমিনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তাদের বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি সঠিক ও
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
Leave a Reply