ডেস্ক রিপোর্ট / ক্রাইম ওয়াচ :
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হন্দাল শারক্বীয়া’র দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মূনসহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯। সোমবার (৮ মে) রাতভর সিলেটের বড়শালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অপর তিনজন হচ্ছে সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা, মোহাম্মদ আবু জাফর তাহান ও আক্তার কাজী সাইদ আইজল। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ মোট ৬৮ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য কেএনএফ-এর ১৭ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৯ এর মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আব্দুল মঈন।
খন্দকার মঈন আরও জানান, আব্দুল্লাহ মায়মূনের নেতৃত্বে ৪ সদস্য সপ্তাহখানেক আগে সিলেট আসে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে সিলেট সদর উপজেলার বড়শলা এলাকায় বড়শালা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। এই বাসায় থেকেই নাশকতার পরিকল্পনা করছিল তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন র্যাব-৯ মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আব্দুল মঈন। এর আগে সোমবার রাতভর বড়শালা এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে আটক করে র্যাব। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান খন্দকার আব্দুল মঈন।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে কুকিজ ন্যাশনাল ফ্রন্টের মাধ্যমে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছে এরা। মায়মূনের নেতৃত্বে এখান থেকে বড়ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিল এই চারজন। মায়মূন মূলত আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, অর্থ সংস্থান ও সংগঠন চাঙা করতে নেতৃত্ব দিতেন।
আটকের সময় মোবাইল ফোন, দুলক্ষ টাকা, কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ হয়েছে জানিয়ে মঈন বলেন, এই সংগঠনের অর্থের যোগানদাতাদের অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে। গত বছরের আগস্টে কুমিল্লা সদর এলাকায় ৮ জন তরুণের নিখোঁজের প্রেক্ষিতে র্যাব নিখোঁজদের উদ্ধারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। নিখোঁজ তরুণদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে র্যাব ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় থাকার তথ্য পায়। র্যাব জানতে পারে যে, এই সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ-এর সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মঈন জানান, মায়মূন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের জন্য সহায়তা করে থাকেন। আরেক জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সেতুবন্ধন হিসেবেও কাজ করেন। মায়মুন ২০১৩ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। তিনি পরে আনসার আল ইসলামের সিলেট বিভাগীয় প্রধানও ছিলেন। আনসার আল ইসলামের শীর্ষ জঙ্গি নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ২০১৯ সালে বগুড়ায় সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করে ২০২০ সালের শেষের দিকে জামিনে বের হন।
Leave a Reply